সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৪১ অপরাহ্ন
মোয়াজ্জেম হোসেন,পটুয়াখালী প্রতিনিধি।। পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বিএনপির উদ্যাগে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন করা হয়েছে। শনিবার সকাল ৬টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উওোলন ও সন্ধ্যার পর স্থানীয় নতুন বাজার দলীয় কার্যালয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়।
উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক গাজী মো: ফারুকের পরিচালনায় উপজেলা বিএনপি’র সাধারন সম্পাদক হাজী হুমায়ুন শিকদারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন পৌর বিএনপি’র সাধারন সম্পাদক এ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান চুন্নু, এছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন পৌর বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক বিশ্বাস শফিকুর রহমান টুলু, উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ন-সম্পাদক মুসা তাওহিদ নান্নু মুন্সি, যুগ্ন-সম্পাদক এ্যাডভোকেট শাজাহান পারভেজ, মিঠাগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি খন্দকার মো: মনিবুর রহমান, সাবেক কাউন্সিলর ইমরান বিশ্বাস, বালিয়াতলী ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারন সম্পাদক মো: মজিবর রহমান, উপজেলা যুব দলের সভাপতি গাজী আক্কাস, উপজেলা যুব দলের সাধারন সম্পাদক মো: হারুনর রশীদ, উপজেলা যুব দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জুয়েল সিকদারসহ যুবদল, ছাত্রদল, সেচ্ছাসেবকদল, শ্রমিকদল, কৃষকদল ও বিভিন্নস্তরের নেতা-কমী প্রমুখ।
সভায় বক্তারা ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, এ দিনটি বাংলাদেশের জাতীয় জীবনের একটি গুরুত্বপুর্ন দিন। এই দিন সিপাহী জনতার সংগঠিত বিপ্লবের মাধ্যমে প্রিয় মানুষ মহান স্বাধীনতার ঘোষক, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করে দেশের শান্তিশৃঙ্খলা ঐক্য প্রতিষ্টার দায়িত্ব অর্পন করেছিলেন। বিএনপি’র সকল স্তরের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের ৭ নভেম্বরের চেতনা ধারন করে বিপন্ন ও বিপদগ্রস্ত, গনতন্ত্র ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার দৃপ্ত শপথ নিতে হবে। ৭ নভেম্বর সৃষ্টি না হলে এ দেশে গনতন্ত্র রক্ষা হতো না। শহীদ রাষ্টপতি জিয়াউর রহমান এ দেশে বহুদলীয় গনতন্ত্র প্রতিষ্টা করেছিলেন। জাতি এমন এক সময় এ দিবসটি পালন করছে যখন দেশে গনতন্ত্র, আইনের শাসন এবং ভোটাধিকারসহ মৌলিক মানবাধিকার বলতে কোন কিছু নেই। গখুন, হত্যা-ধর্ষণের মতো জঘন্য ঘটনা প্রতিনিয়তই ঘটছে। দুর্নীতি-দুঃশাসন গোটা জাতিকে গ্রাস করেছে। এই অবস্থা থেকে উওরনের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে অপশাসনের বিরুদ্ধে সোচ্ছার হতে হবে।
আলোচনার শেষে ৭ নভেম্বর উপলক্ষে বিশেষ দোয়া-মোনাজাত করা হয়। দোয়া-মোনাজাত পরিচালনা করেন নতুন বাজার জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আনিসুর রহমান।